মঙ্গলবার , ১৭ জুন ২০২৫ | ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. টপ টেন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. প্রধান খবর

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ ইরানের দুঃখ!

প্রতিবেদক
azadikantho
জুন ১৭, ২০২৫ ৭:৫২ অপরাহ্ণ

বিগত কয়েক দিনের ইরান -ইজরায়েল যুদ্ধে, ইরানের আক্রমণ দেখে বুঝা গেল ইরান তাদের সামরিক ও প্রযুক্তিক খাতে অতীতের তুলনায় বেশ এগিয়েছে । তবে ইরান – ইজরায়েল যুদ্ধে ইরানের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে, মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলো। ইরান যদি এই যুদ্ধে পরাজিত হয়, তাহলে তার প্রতিবেশী মুসলিম দেশ সমূহের কারণে পরাজিত হতে পারে। কারণ ইরান -ইজরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত, কোনো মুসলিম দেশ ইরানের পক্ষে কথা বলছেন না। কিছু দেশ ইরানের পক্ষে অবস্থান নিলেও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা খুবই দুর্বল।আর কেন কোনো মুসলিম রাষ্ট্র ইরানের পক্ষ হয়ে কথা বলছেন না? মুসলিম রাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ সংগঠন ওআইসি আজ পর্যন্ত ইরানের পক্ষ হয়ে কোনো বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। এই যুদ্ধে আরব লীগও নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ।এসব নীরবতার কারণ কি? এখানে যদি মনে করি সামরিক প্রতিরক্ষা দুর্বলতা, তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে তুরস্ক তো পারমাণবিক শক্তিধর ও মুসলিম রাষ্ট্র। ইরানের সাথে জাতিগত ও ধর্মীয় ভাবধারায় মিল রয়েছে। এছাড়াও তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা অনেক মজবুত, এর পরেও কেন ইরানের পক্ষে কথা বলছেন না? এখানে উত্তর হচ্ছে তুরস্কের মধ্যে রয়েছে জাতি গত অনৈক্য। যদি তুরস্ক ইরানের পক্ষে অবস্থান নেন, তাহলে জাতিগত অনৈক্য উস্কে দিয়ে অভ্যন্তরীণ সংঘাত তৈরি করে আরেকটা লিবিয়ায় পরিণত হওয়ার ভয়ে তুরস্ক পারমাণবিক শক্তি ধর দেশ হলেও সার্বভৌমত্বের কথা চিন্তা করে তুরস্ক নীরব থেকে ডকট্রিন অব ডিলেমা নীতি অনুসরণ করে চলছে।এছাড়া তুরস্ক নেটো জোটের সদস্য। যদি তুরস্ক নেটোর সনদ মেনে চলে, তাহলে নেটো জোটের বাহিরে গিয়ে তুরস্ক কথা বলতে পারবেন না। আর জাতিগত ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নেটো জোট কখনো ইরানকে সমর্থন দিবে না। তবে ইরানের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ইজরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করেছে। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,এই যুদ্ধে ইজরায়েলের পক্ষে অবস্থান নেন তাহলে ইরানকে ইরাকের মত পরাজয় বরণ করতে হবে বলে মনে হচ্ছে ।

কারণ ইরানের আশেপাশের রাষ্ট্র গুলো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র।এসব রাষ্ট্রে, বিশেষ করে ইরানের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে
ইজরায়েলকে সুরক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছোট-বড় মিলিয়ে শক্তঘাঁটি গড়ে তুলেছে ১০টির ও অধিক । প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক সেনার শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে তুরস্ক, সিরিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব, জর্ডান এবং ইসরাইল। এসব রাষ্ট্র গুলো ইরানের আশেপাশের রাষ্ট্র। অতীতে বিশেষ করে ইরাক, আফগানিস্তান যুদ্ধে এসব রাষ্ট্রের ভূমি থেকে ইরাকও আফগানিস্তানে আক্রমণ করেছে। বর্তমান ইরান ইজরায়েল যুদ্ধেও এর ব্যতিক্রম হবে বলে মনে হচ্ছে না।আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইরানের পক্ষে কোন শক্তিশালী রাষ্ট্র নেই। রাশা ও চীন ইরানকে সমর্থন দিলেও তারা কখনো ইরানের পক্ষ হয়ে যুদ্ধে জড়াবে বলে মনে হয় না। এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাশা ও চীনের মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সামরিক ঘাঁটি নেই। এই কারণেও রাশা ও চীনের সমর্থন ইরানের প্রতি থাকলেও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, ইরান এই দুই শক্তিধর রাষ্ট্র থেকে তেমন সুবিধা পাবে মনে হচ্ছে না।

তবে হ্যা, ইরান বারবার হুমকি দিচ্ছে হরমোজ প্রণালি বন্ধ করে দিবে। এই হরমোজ প্রণালি দিয়ে বিশ্বের মোট জ্বালানি সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই হরমুজ প্রণালি হয়ে যায়। এই প্রণালিটি মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস রফতানির অন্যতম প্রধান পথ।এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অসুবিধা হবে এমন নয়, এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে ইরানের মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনও অসুবিধায় পড়বে। তবে ইরান এই প্রণালি বন্ধ করে দিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশ সমূহ সর্বশক্তি প্রয়োগ করে এই প্রণালি দখলে নিতে পারে। আর বিশেষ করে ইরানের পার্শ্ববর্তী দেশ বাহরাইনে রয়েছে মার্কিন সামরিক ৫ম নৌবহর। এর আয়ত্বের ক্ষেত্রফল প্রায় ২.৫ মিলিয়ন বর্গমাইল এবং এর মধ্যে রয়েছে পারস্য উপসাগর , লোহিত সাগর , আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরের কিছু অংশ। যদি ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাহারাইনে অবস্হিত মার্কিন সামরিক ৫ম নৌবহর ব্যবহার করতে পারে। এতে যদি ইরান হরমুজ প্রণালীর কর্তৃত্ব হারিয়ে পেলে তাহলে ইরানকে আজীবনের জন্য এই প্রণালীর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দিবেনা। এসব বিবেচনায় মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ সমূহ ইরানের জন্য বড় দুঃখ ।কারণ এসব মুসলিম রাষ্ট্র ভূমি ব্যবহার করতে না দিলে, ইজরায়েল যুদ্ধে ঠিকে থাকা কঠিন হতো এবং তাদের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের বিরুদ্ধাচারণ করার সাহস করতো না।আর যদি ইরানকে এই যুদ্ধে পরাজয় বরণ করতে হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের কারণে পরাজয় বরণ করতে হবে। তাই সমগ্র মুসলিম রাষ্ট্র যদি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে তাহলে ইরানের উচিত হবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা। অন্যথায় ইরানকে ইরাকের মত পরিণতি বরণ করতে হতে পারে । তবে আমার বিশ্বাস ইরানের জন্য বদর যুদ্ধের মত আসমানী সহযোগিতা আসবে ইনশাআল্লাহ।

জিয়াবুল আলম,
আইনজীবী,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এন্ড চট্টগ্রাম জজ কোর্ট।

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে হেফাজত

বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে “টেকনাফ সাংবাদিক ফোরামের ব্যাপক প্রস্তুতি

হোয়াইক্যংয়ে যুবককে অপহরণের পর ব্যাপক মারধর,বিচারের দাবিতে স্থানীয়দের সড়ক অবরোধ

ছয়বারের চেষ্টায় অবশেষে সফল আরিফা, সংসার সামলেও হলেন বিসিএস ক্যাডার

নাশকতা মামলায় আমান, রিজভীসহ ৪৫ জনের বিরদ্ধে অভিযোগ গঠন

সাকিবের বার্ষিক আয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

“চেতনার মুখোশ” এড সাইফুদ্দিন খালেদ

দলিল জালিয়াতির অভিযোগে হ্নীলার হোছাইন মেম্বার কারাগারে

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরেও বিএনপি পরিবারে মিথ্যা মামলা, প্রত্যাহার না হলে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি