সোমবার , ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. টপ টেন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. প্রধান খবর

কারাগারে পরিচয়,জামিনে বের হয়ে দল গঠন করে স্বর্ণের দোকান ডাকাতি

প্রতিবেদক
azadikantho
ডিসেম্বর ১১, ২০২৩ ৫:১৮ অপরাহ্ণ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি গুলিসহ দেশে তৈরি ১টি এলজি, ডাকাতি করা ৬০ ভরি সোনা, ১৬০ ভরি রুপা, সাড়ে তিন লাখ টাকা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৃথক ঘটনায় চুরি করা চারটি গরুও তাঁদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহদাত হোসেন (৩২), সালাউদ্দিন (৩২), মিজানুর রহমান (৩৬), মো. নোমান (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩০), মো. ‍সুজন হোসেন (২৭) ও কমল কৃষ্ণ সরকার (৩২)।

সাতজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এর আগে গতকাল রোববার জেলা পুলিশের একাধিক দলের পৃথক অভিযানে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সোনার দোকানে ডাকাতিতে জড়িত দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন মো. শাহাদাত ও মো. মিজানুর রহমান। শাহাদাত সোনাইমুড়ী উপজেলার ও মিজানুর কবিরহাটের বাসিন্দা। দুজনের পরিচয় হয় নোয়াখালী জেলা কারাগারে। দুজন ২০১৮ সালে পৃথক মামলায় কারাগারটিতে ছিলেন। এরপর জামিনে বের হয়ে দুজন ডাকাত দল গঠন করেন। শুরুতে তাঁদের সঙ্গে দলটিতে যোগ দেন সালাউদ্দিন। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকার একটি ওয়েল্ডিং কারখানার মালিক। পরে দলটিতে অন্যরা যুক্ত হন।

পুলিশ সুপার বলেন, চাপরাশিরহাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পর থেকে পুলিশ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, লুট হওয়া সোনা-রুপা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মো. নোমান তাঁর এলাকায় বিক্রির চেষ্টা করছেন। স্থানীয় সোনা ব্যবসায়ী সুজনের সহযোগিতায় কমল কৃষ্ণ নামের আরেক ব্যবসায়ীর কাছে এসব সোনা বিক্রি করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তথ্যের ভিত্তিতে অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুরুতে একাধিক স্থানে ডাকাতি করতে গিয়ে দলটি ব্যর্থ হয় জানিয়ে মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ১ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জের ছয়ানী থেকে পাঁচটি গরু চুরি করে কুমিল্লায় বিক্রি করে ডাকাত দলটি। এরপর ৬ ডিসেম্বর কুমিল্লার মুরাদনগরে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করেন তাঁরা।

পরদিন চাপরাশিরহাটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ডাকাতির ১৫ থেকে ২০ দিন আগে শাহাদাত ও মিজানুর রহমান চাপরাশিরহাট বাজার রেকি করেন। এ সময় তাঁরা ডাকাতির জন্য বাজারের মা-মণি জুয়েলার্সকে টার্গেট করেন। সালাউদ্দিনের দোকানে বসে পরিকল্পনা করা হয়, কে কী অস্ত্র ও সরঞ্জাম নেবেন, কে কতজন লোক আনবেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তাঁদের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে ভোর চারটার মধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল বাজারের পাঁচ নৈশপ্রহরীর চারজনকে হাত-পা বেঁধে ফেলেন। শহিদ উল্যাহ নামের আরেক প্রহরীকে মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতে হত্যা করা হয়।

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার

ভোটার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় আওয়ামী লীগ: কাদের

টেকনাফে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণে ফিরেছেন অপহৃত স্কুল শিক্ষকসহ অপর রোহিঙ্গা 

দেশে ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত

হ্নীলায় পুকুরের মাছ চু’রি ও বাগান কে’টে ২লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ ওঠেছে

এনজিওর মিটিংয়ে যাওয়ার কথা বলে তিন কিশোরকে মিয়ানমারে পাচার, আদালতে মামলা!

সাকিবের বার্ষিক আয় সাড়ে ৫ কোটি টাকা

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরেও বিএনপি পরিবারে মিথ্যা মামলা, প্রত্যাহার না হলে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি

দলিল জালিয়াতির অভিযোগে হ্নীলার হোছাইন মেম্বার কারাগারে

টেকনাফের হ্নীলায় ইসলামী আন্দোলনের বিজয় র‍্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ সম্পন্ন