রবিবার , ২৪ আগস্ট ২০২৫ | ১৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. গণমাধ্যম
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. টপ টেন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশজুড়ে
  13. ধর্ম
  14. নারী ও শিশু
  15. প্রধান খবর

কক্সবাজারবাসী নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাদের ভার নিতে পারবে না

প্রতিবেদক
azadikantho
আগস্ট ২৪, ২০২৫ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা সংকটে নাগরিক সমাজের দাবি রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান হলো একমাত্র ও টেকসই সমাধান-একটি রোডম্যাপের দাবি

বার্তা পরিবেশক:

ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২৫: স্থানীয়-জাতীয় সংস্থা এবং মানবিক কর্মীরা রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান হিসেবে প্রত্যাবাসনের উপর জোর দেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন একটি পরিষ্কার রোডম্যাপ এবং কক্সবাজারবাসি নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গাদের ভার নিতে পারবে না,
আজ ৮ম রোহিঙ্গা বার্ষিকী উপলক্ষে কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং সিসিএনএফ কর্তৃক “বাংলাদেশে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা: মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং টেকসই সমাধানের দিকে পদক্ষেপ” শীর্ষক একটি ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ এবং সদস্য সচিব সিসিএনএফ, সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন দুর্যোগ ফোরামের গওহার নঈম ওয়ারা, হোয়াইকং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমেদ আনোয়ারী, কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সাকি এ কাওসার, পালংখালী ইউনিয়নের মোজাফফর আহমেদ, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, ইমাম খাইর সিনিয়র সাংবাদিক, তৌহিদ বেলাল, চেয়্যারমান সেইভ দ্যা কক্সবাজার, আব্দুর রহমান হাশেমী, অগ্রযাত্রার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এনজিও প্ল্যাটফর্মের আমির হোসেন এবং সুকর্ণা আবদুল্লাহ।

গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, রোহিঙ্গা দের শরণার্থীর স্বীকৃতি না দিলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারবো না। শিক্ষা রোহিঙ্গা শিশুদের অধিকার যা বঞ্চিত করতে পারি না। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য স্থানীয় পন্য সামাগ্রী ও সম্পদের ব্যবহার যেন করা হয়। সর্বপরি যেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কি কি করা হবে তার একটি রোড় ম্যাপ তৈরি করা হয়।

মোঃ শাহিনুর ইসলাম, সহকারী পরিচালক-হিউম্যানিটেরিয়ান রেসপন্স অধিবেশনের মূল নোট উপস্থাপন করেন। তিনি দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট এবং সম্ভাব্য টেকসই সমাধান উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ উখিয়া এবং টেকনাফে প্রায় ১,১৪৮,৫২৯ জন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল এবং সাম্প্রতিক তহবিল হ্রাসের কারণে মানবিক সংস্থাগুলো সহায়তা হ্রাস করতে বাধ্য হচ্ছে। তার সুপারিশগুলোতে তিনি বলেন, সরকারকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত এবং কোনও দায়মুক্তি দেওয়া উচিত নয় ।

সাকি এ কাউসার বলেন, ককবাজারের মামলা জটের মূল কারন রোহিঙ্গা শরনার্থী। রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে ইয়াবা, ধর্ষণ, মানবপাচারের মামলার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতো সংখ্যক মামলার কারণে মামলাগুলো আর আগাচ্ছে না। তিনি, এই সমস্যা সমাধানে রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা আদালত তৈরির কথা বলেন।

নূর আহমদ আনোয়ারী বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য ২৫% তহবিল বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে আইন শৃংঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন হলো একমাত্র চুড়ান্ত এবং টেকসই সমাধান।

মোজাফফর আহমেদ বলেন, যেই রোহিঙ্গা শিশুটা ২০১৭ সালের আগষ্ট মাসে জন্ম নিয়েছিল, আজ তার অনেকগুলো চাহিদা হয়েছে। খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার দরকার। কাজেই মানবিক সহায়তায় কোনভাবেই কাটছাট কাম্য নয়। বরং টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য যদি মানবিক সহয়তা বাড়ানো না হয়, তাহলে তার চাপ স্থানীয় মানুষের মধ্যে এসে পরবে। তাই তিনি, বৈদেশিক সহায়তা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ইমাম খাইর বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা আজ দাবির মধ্যে রয়ে গেছে। আগামী নির্বাচিত সরকারের উচিত হবে এটাকে সমাধান করা।

ফারুক আহমেদ বলেন, অর্থ সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে প্রকৃত চাহিদা ও প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনা করাই জরুরি।

তৌহিদ বেলাল বলেন, উখিয়া টেকনাফের বড় সমস্যা সূপেয় পানির সমস্যা। এর জন্য তিনি মাস্টার প্লানের দাবি করেন। মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পের নিরাপত্তা ভংগুর এবং ক্যাম্পে বিভিন্ন সশস্ত্র দল সক্রিয় যা প্রত্যাবাসনকে বিলম্বিত করছে। তাই তিনি তৃতীয় দেশে প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার কথা বলেন। আব্দুর রহমান হাশেমী বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারবাসি নতুন করে আর একজন রোহিঙ্গার ভারও নিতে পারবে না।

এনজিও প্লাটফর্মের আমির হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি জীবনরক্ষাকারী মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বরোপ করেন। তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, স্থানীয়দের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সুকর্ণা আব্দুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্যের সুরক্ষা ও স্থায়ী সমাধানের উপর জোর দিকে হবে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনায় নিতে হবে। এই জন্য আঞ্চলিক পর‌্যায়ের বিশেষ করে আসিয়ানকে কাজে লাগাতে হবে।

সর্বশেষ - অর্থনীতি

আপনার জন্য নির্বাচিত

হ্নীলা উম্মে সালমা মহিলা মাদরাসায় মাতৃভাষা দিবস পালিত

ধর্ম উপদেষ্টার সাথে হ্নীলা ‘উম্মে সালমা’ মাদরাসা কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বার্ষিক সভার দাওয়াত প্রদান

টেকনাফ থানার ওসি ও ইউএনও’র সাথে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরেও বিএনপি পরিবারে মিথ্যা মামলা, প্রত্যাহার না হলে কঠিন কর্মসূচির হুশিয়ারি

টেকনাফে স্কুলে সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে আরেক সহপাঠী আহত

উখিয়ার ছেপটখালী মাদ্রাসায় একসাথে পাগড়ী পেলেন ১৩ ক্ষুদে হাফেজ

হ্নীলা পানখালী ইসলামি সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

টেকনাফের হ্নীলায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে লাঙ্গলে ভোট চাইলেন-এমপি হাফিজ উদ্দীন

অর্ধকোটি টাকা খরচ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পিকনিক,আয়ের উৎস কী?